সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

NCERT Class 6 | Chapter 7&8 | Getting to know Plants & Body movement summary in Bengali


Herbs- যে সমস্ত উদ্ভিদের কান্ড সবুজ ও নরম হয় তাদের হারবস বলে। এই উদ্ভিদ গুলির উচ্চতা সাধারণত কম হয় এবং এদের শাখা-প্রশাখা নাও থাকতে পারে।
Shrubs- কিছু উদ্ভিদ আছে যাদের কান্ড শক্ত কিন্তু চওড়া না এবং কাণ্ডের নিচের দিক থেকেই শাখা-প্রশাখা বের হয়। এদের উচ্চতা বেশি হয় না।
Tree- যে সমস্ত উদ্ভিদের কান্ড শক্ত এবং চওড়া, উচ্চতা অনেক বেশি এবং শাখা-প্রশাখা মাটির থেকে অনেক ওপরে থাকে, তাদের গাছ বলে।
যে সমস্ত উদ্ভিদের কান্ড শক্ত না এবং যারা সোজা দাঁড়াতে পারে না মাটিতেই বড় হয় (যেমন- লাউ, কুমড়ো গাছ) তাদের creepers বলে।
Leaf- পাতার যে অংশটা কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে Petiole বলে।
Hand drowning of leaf
Reticulate and parallel venation

এবং বড় সবুজ অংশটিকে Lamina বলে।
মূল মাটি থেকে জল ও মিনারেল শোষণ করে যা কার্ডের মাধ্যমে পাতায় পৌঁছায় এবং সেখানে খাদ্য তৈরি হয়। সেই খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে জমা থাকে যাদের আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি।
বিভিন্ন উদ্ভিদের মূলকেও আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। যেমন- গাজর, মুলো, মিষ্টি আলু, শালগম ইত্যাদি।
Flower- ফুলের সব থেকে সুন্দর বড় অংশটা হলো পাপ্রি বা Petals।

পাপড়ির নিচে যে সবুজ রঙের ছোট পাতার মতো অংশ থাকে তাকে sepals বলে।
ফুলের পাপড়ি সরিয়ে ফেললে ভেতরে stamen ও pistil দেখা যায়। অনেকগুলি stamen এর মাঝে একটি pistil থাকে।

Body movement-

আমাদের শরীরের অনেকগুলি ও অনেক রকমের joint আছে, যার জন্য আমরা স্বাধীন ভাবে নড়াচড়া করতে পারি। এই joint গুলি হল-
  1. Ball-and-socket joints
  2. Pivotal joints
  3. Hinge joint
  4. Fix joint.
  • Ball-and-socket joints- এই জয়েন্ট আমাদের দেশে সেই সমস্ত স্থানে থাকে যেখানে সব থেকে বেশি মুভমেন্ট এর দরকার হয়।
    Hand drawing of ball and socket joint
যেমন- কাঁধ, কোমর ও পায়ের জয়েন্ট। Ball and socket joint এর সাহায্যে মোটামুটি সব রকমের মুভমেন্ট করা যায়।
  • Pivotal joints-
    Pivotal joint of head and neck
    গলা যেখানে মাথায় যুক্ত হয় সেখানে এক রকম থাকে। আমরা যখন মাথা নাড়িয়ে ইশারাতে হ্যাঁ বা না বলি তখন আমাদের যেই মুভমেন্টে করতে হয়, সেই মুভমেন্ট করতে পাইভোটাল জয়েন্ট সাহায্য করে।
  • Hinge Joint- Hinge joint আমাদের হাতের কনুই ও হাঁটুতে থাকে। Hinge joint আমাদের যেকোন একটা axis বরাবর মুভমেন্ট করতে সাহায্য করে।
  • Fixed Joint- আমাদের দেহে যে সমস্ত জায়গায় fixed Joint- থাকে সেগুলিকে ধরানো যায় না। যেমন- দাঁতের ওপরের পাটি খুলির মধ্যে এই জয়েন্টের সাহায্যে যুক্ত থাকে।
মানুষের শরীরের 206 টি হাড় বিভিন্নভাবে যুক্ত হয়ে একটি কাঠামো তৈরি করে যাকে স্কেলিটন বলা হয়।
Skeleton
শিশু অবস্থায় মানুষের দেহে 305 টি হার্ট থাকে তবে বড় হতে হতে হারগুলো জোড়া লেগে 206 টি হাড়ের পরিণত হয়।
আমাদের হাতের তালু অনেকগুলি ছোট ছোট হাড় জোড়া লেগে তৈরি হয়েছে। এই কারণেই আমরা হাত মুঠ করতে পারি।
এই ছোট ছোট হাড় গুলিকে carpeles বলে।

আমাদের বুকে হাড়ের যে গঠন আছে, তাকে রিব কেজ বলে। রিব কেজের প্রতিটি পাশে বারটি করে হাড় থাকে। রিব কেজের মধ্যে আমাদের শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ থাকে।
মানবদেহের শিরদাঁড়ায় 33 টি ভার্টিব্রা নিয়ে তৈরি।

Cartilage
আমাদের দেহের সব হাড় সমান শক্ত হয় না। কিছু হাড় অপর হাড়ের তুলনায় কোমল হয়। যেমন কানের ওপরের হাড়। এদের কার্টিলেজ বলে।

একটি হাড়কে নড়ানোর জন্য 2 টি মাংসপেশি দরকার হয়। মাংসপেশী সবসময় জড়াতে কাজ করে।

অন্য কিছু প্রাণীর গমন

কেঁচো- একটি কেঁচোর শরীর অনেকগুলি রিং দিয়ে গঠিত। কেঁচোর শরীরে কোন হাড় থাকে না। কেঁচোর শরীরের মাংসপেশী এদের শরীর চেয়ে বড় এবং ছোট করতে সাহায্য করে। চলার সময় কিছু তাদের শরীরের সামনের দিক থেকে বড় করে এবং পেছনের দিক থেকে মাটির সাথে লাগিয়ে রাখে। তারপর সামনের দিক থেকে মাটির সাথে লাগিয়ে রেখে পেছনের দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে আসে। মাটিকে ভালো ভাবে ধরে রাখার জন্য কিছু শরীরে অসংখ্য সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম চুলের মত পদার্থ থাকে। কিছু যেখান দিয়ে যায় সেখানে মাটি খেতে খেতে যায় এবং মাটির অপাচ্য অংশ তার শরীর থেকে বের হয় এটা মাটিকে উর্বর করে।

শামুক- শামুকের গমন অঙ্গ feet.

আরশোলা- আরশোলার তিন জোড়া পা থাকে। এদের শরীর শক্ত হাড় দ্বারা আবৃত থাকে। এই হাড় গুলো অনেকগুলি প্লেট জোড়া লেগে তৈরি হয়েছে আর যেটা আরশোলাকে চলতে সাহায্য করে। আরশোলার দেহের দুই জোড়া পাখা থাকে।

পাখি- পাখিরা আকাশে ওড়ে এবং মাটিতে হাটে অনেক পাখি সাঁতার কাটে যেমন হাঁস। পাখিরা উড়তে পারে কারণ তাদের হার ফাঁপা হয় ও ওজন কম হয়। পাখির অগ্রপদ ডানায় পরিবর্তিত হয়েছে।

মাছ- মাছের দেহের অগ্রভাগ এবং পশ্চাতভাগ সর ও মধ্য ভাগ মোটা হয়, এরকম দেহের গঠনকে streamlined shape বলে। দেহের এরকম গঠন মাছেদের জলে সাঁতার কাটতে সাহায্য করে। মাছের দেহে শক্তিশালী মাংসপেশি থাকে এই মাংসপেশি ও লেজের দ্বার মাছ জলে সাঁতার কাটে। মাছের অন্যান্য পাখনা জলে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

সাপ- সাপের গমন পদ্ধতিকে বলে slither. সাপের শরীরে একটি বড় ব্যাকবোন থাকে এবং অসংখ্য ছোট ছোট মাংসপেশি থাকে যেগুলি একে অপরের থেকে অনেকটা দূরে থাকে কিন্তু যুক্ত থাকে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Fundamental right in Bengali | মৌলিক অধিকার

Fundamental right বা মৌলিক অধিকার ভারতীয় সংবিধানের part 3 এর article 12 থেকে article 35 এর মধ্যে আছে। মৌলিক অধিকারের ধারণা US Constitution থেকে নেওয়া হয়েছে।  ভারতীয় সংবিধানে বর্তমানে ছয়টি মৌলিক অধিকার আছে। যে গুলি হল, Right to Equality বা সাম্যের অধিকার (article 14 থেকে 18) Right to freedom বাক স্বাধীনতার অধিকার (article 19 থেকে 22) Right against exploitation বা শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার (article 23 থেকে 24) Right to freedom of religion বা ধর্মীয় স্বাধীনতা (article 25 থেকে 28) Cultural and educational rights বা শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার (article 29 থেকে 30) Right to constitutional remedies বা সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার (article 32) 1978 খ্রিস্টাব্দের আগে right to property বা সম্পত্তির অধিকার ও একটি fundamental right বা মৌলিক অধিকার ছিল কিন্তু 1978 সালে 44 তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার থেকে সরিয়ে legal right বানানো হয় যা বর্তমানে article 300A যে আছে। Right to Equality বা সাম্যের অধিকার (article 14 থেকে 18) -  Article 14 -  Equal

ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীজীর উত্থান

গান্ধীজীর উত্থান ব্রিটেন থেকে ওকালতি পড়ে এসে গান্ধীজী 1898 সালে সাউথ আফ্রিকাতে যান। সেখানে তিনি দাদা আব্দুল্লাহর কেসের জন্য গেলেও সেখানকার নিপীড়িত ভারতীয়দের দেখে তাদের সাহায্য করার জন্য 22 বছর সাউথ আফ্রিকা তে থাকেন। এরমধ্যে গান্ধীজীর প্রতিবাদের দুটি ধারা দেখা যায়। গান্ধীজীর প্রতিবাদের নরমপন্থী ভাগ (1894-1906) দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে গান্ধীজী প্রথমে নরমপন্থী দের মত সরকারকে প্রেয়ার এবং পিটিশন দেওয়া শুরু করে এই আশায় যে যেহেতু আফ্রিকা ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ সেই হিসাবে সেখানকার বসবাসকারী ভারতীয়রা ব্রিটেনের নাগরিক এবং ব্রিটিশ সরকার তাদের দুর্দশা দেখলে তাদের সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।  প্যাসিভ রেজিস্টেন্স বা সত্যাগ্রহী ভাগ (1906-1914) নরমপন্থী ভাবধারায় কাজ না হওয়ায় গান্ধীজি প্যাসিভ রেজিস্টেন্স এর দিকে চলে যায় যাকে তিনি সত্যাগ্রহ বলেন। তিনি প্রথম সত্যাগ্রহ করেন দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা ভারতীয়দের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে। এখানে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা বলা হয়েছিল যে সমস্ত ভারতীয়রা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকে তাদেরকে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া একটি কার্ড নিয়ে ঘুরতে হব

ধ্বনি

ধ্বনি কাকে বলে? বাক যন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়োগে শব্দের বিশ্লিষ্ট তম অংশকে বলে ধ্বনি। বাংলা ব্যাকরণে 11 টি স্বরধ্বনি এবং 39 টি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। ধ্বনি পরিবর্তন দুইভবে হয়, স্বরধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন ও ব্যঞ্জনধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন। স্বরধ্বনিঘটিত পরিবর্তন- স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ-  উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা ছন্দের প্রয়োজনে সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ্ণকে  ভেঙে তার মধ্যে স্বরধ্বনি আনার রীতিকে বলা হয় স্বরভক্তি বাা বিপ্রকর্ষ। যেমন - রত্ন > রতন স্বরাগম- উচ্চারণ কে সহজ করতে অথবা উচ্চারণের অপারগতার জন্য শব্দের শুরুতে, মধ্যে বা শেষে স্বরধ্বনি আগমনকে বলা হয় স্বরাগম। স্বরাগমকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। আদি স্বরাগম- শব্দের শুরুতে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- স্কুল > ইস্কুল মধ্য স্বরাগম-  শব্দের মধ্যে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম ইত্যাদি। অন্ত স্বরাগম-  শব্দের শেষে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- বেঞ্চ >বেঞ্চি, ইঞ্চ>ইঞ্চি ইত্যাদি। স্বরলোপ-  উচ্চারণের কোন ত্রুটি বা সুবিধার জন্য শব্দের অন্তর্গত কোন