সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Fundamental right in Bengali | মৌলিক অধিকার


Fundamental right বা মৌলিক অধিকার ভারতীয় সংবিধানের part 3 এর article 12 থেকে article 35 এর মধ্যে আছে। মৌলিক অধিকারের ধারণা US Constitution থেকে নেওয়া হয়েছে। 
ভারতীয় সংবিধানে বর্তমানে ছয়টি মৌলিক অধিকার আছে। যে গুলি হল,
  1. Right to Equality বা সাম্যের অধিকার (article 14 থেকে 18)
  2. Right to freedom বাক স্বাধীনতার অধিকার (article 19 থেকে 22)
  3. Right against exploitation বা শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার (article 23 থেকে 24)
  4. Right to freedom of religion বা ধর্মীয় স্বাধীনতা (article 25 থেকে 28)
  5. Cultural and educational rights বা শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার (article 29 থেকে 30)
  6. Right to constitutional remedies বা সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার (article 32)
1978 খ্রিস্টাব্দের আগে right to property বা সম্পত্তির অধিকার ও একটি fundamental right বা মৌলিক অধিকার ছিল কিন্তু 1978 সালে 44 তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার থেকে সরিয়ে legal right বানানো হয় যা বর্তমানে article 300A যে আছে।

  • Right to Equality বা সাম্যের অধিকার (article 14 থেকে 18) - 
  • Article 14 - 
Equality before law- Equality before law তে বলা হয়েছে আইন কারো পক্ষ নেবে না, দোষ করলে সকলেরই একই শাস্তি হবে সে ধনী হোক কিংবা গরীব। এটা একটা নেগেটিভ কনসেপ্ট এবং এটি ব্রিটেনের সংবিধান থেকে নেওয়া হয়েছে।
Equal protection of law- Equal protection of law তে বলা হয়েছে আইন সবার জন্য সমান, কিন্তু এতে কিছু যুক্তিযুক্ত্ত্ত্ত বৈষম্য করা যেতে পারে। একটা উদাহরন এ ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করি, যেমন ধরুন -
কোন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি স্বইচ্ছায় এবং জ্ঞানে একটি বন্দুক নিয়ে কোন মানুষকে গুলি করে খুন করে এবং অপর দিকে কোন একটি শিশু যদি বন্ধুকে খেলনা ভাবে খেলতে খেলতে ভুলবশত সামনের জনকে গুলি মেরে দেয় এবং সেই ব্যক্তি মরে যায় তবে দুই ক্ষেত্রেই বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু হলেও অবস্থাটা কোনভাবেই সমান ছিল না। Equal protection of law তে বলা হয় এরকম কিছু হলে প্রধান বিচারপতি সমস্ত ব্যাপারটাই দেখে তারপরই শাস্তি দেবেন। যেমন এখানে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষটির শাস্তি আর শিশুটির শাস্তি কোনদিনই এক হতে পারে না। Equal protection of law একটি পজিটিভ কনসেপ্ট।
  • Article 15- জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ্ প্রভৃতির ভিত্তিতে কারো সাথে কোন রকমের ভেদাভেদ করা হবেে না।
  • Article 16- সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার সমান অধিকার থাকবে, তবে সরকার চাইলে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ করতে পারে।
  • Article 17- Article 17 এ অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের কথা বলা হয়েছে। এতক্ষন অব্দি আমরা যতগুলি article নিয়ে আলোচনা করেছি সেই সব কয়টি আর্টিকেলে বর্ণিত বক্তব্য যদি কেউ না মানে তবে তার শাস্তি হবে কিন্তু শাস্তি দেওয়ার আগের পরিবেশ পরিস্থিতিি দেখা হবে কিন্তু article 17 অর্থাৎ অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ এই আর্টিকেলকে যদি কেউ অমান্য করে তা যে পরিস্থিতিতে হোক না কেন তবে তার শাস্তি হবেই।
  • Article 18- এই আর্টিকেলে বলা হয়েছে পড়াশুনায়় প্রাপ্ত উপাধি যেমন Dr ও সেনাবাহিনীর উপাধি ছাড়া অন্যয কোনো রকম উপাধি যেমন পদ্মভূষণ, পদ্মমবিভূষণ এই সমস্ত উপাধি ব্যবহার করা যাবে না।

  • Right to freedom বা স্বাধীনতার অধিকার (article 19-22)- 
  • Freedom of speech বা বাক স্বাধীনতা- ভারতীয় সংবিধানের article 19 এ বাক স্বাধীনতার কথা বল আছে। Court এর judgement ছড়া যে কোন বিষয়ে আমরা আমাদের মত প্রকাশ করতে পারি তার সমালোচনা করতে পারি।
  • Right to form Association- article 19 এই আমাদের দল গঠনের অধিকার দেওয়া হয়েছে।
  • Article 20- Article 20 তে বলা হয়েছে, দোষ না জানিয়ে কাউকে দোষী বলা যাবে না।
  • Article 21- জীবনের রক্ষা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার কথা এই আর্টিকেলে বলা হয়েছে।
  • Article 21 (A)- এই আর্টিকেলে, অনূর্ধ্ব্ব্ব্ব 14 বছরের শিশুদের বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগে এই নিয়মটি article 45 এ ছিল। 86 তম সংবিধান 2002, সংশোধনের মাধ্যমে অনূর্ধ্ব 14 বছরের শিশুদের বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষা কে মৌলিক অধিকার করে দেওয়া হয়। পহেলা এপ্রিল 2010 থেকে এই আইনটিকে কার্যকর করা হয়েছে।
  • Article 22- কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে গ্রেফতার এবং আটক থাকার বিরুদ্ধে সুরক্ষার কথা এই আর্টিকেলে বলা হয়েছে।
  • Rightagainst exploitation বা শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার (article 23 থেকে 24)- 
  • Article 23- জোরপূর্বক কাজ করানো এবং মানব পাচারকে বন্ধ করার কথার এই আর্টিকেলে বলা হয়েছে।
  • Article 24- এই আর্টিকেলে শিশুুদেরক কলকারখানায় শ্রমিকের কাজে নিয়োগ করাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

  • Right to freedom of religion বা ধর্মীয় স্বাধীনতা (article 25 থেকে 28)-
  • Article 25- article 25 এ বলা হয়েছে, আমরা যে কোন ধর্ম মানতে পারি এবং সেই ধর্মের প্রচার করতে পারি।
  • Article 26- এই আর্টিকেলটি আমাদের যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করার অনুমতি দেয়।
  • Article 27- এই আর্টিকেলে বলা হয়েছে, কোন ধর্ম প্রবর্তনের জন্য সরকার কারো ওপর tax লাগাতে পারবে না।

  • Cultural and educational rights বা শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার (article 29 থেকে 30)
  • Article 29- এই আর্টিকেলে, সংখ্যালঘুদের স্বার্থথ রক্ষায় কথা বলা হয়েছে।
  • Article 30- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সংখ্যালঘুদের অধিকার দেওয়া হয়েছে এই আর্টিকেলে।

  • Right to constitutional remedies বা সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার (article 32)
কোন মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হলে সে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। Article 32 কে B.R Ambedkar- "soul of the constitution and very heart of it" বলেছেন।
  • Writs under right to constitutional remedies-
  1. Habeas corpus- পুলিশ যদি কাউকে এরেস্ট করে এবং তার বাড়ির লোক বা আত্মীয় স্বজনরা যদি কোর্টে গিয়ে হেভিয়াস কর্পাস এর রিট জারি করে, তবে court পুলিশকে সেই ব্যক্তি কে কোর্টে হাজির করার আদেশ দিবে যার ফলে পুলিশকে সেই ব্যক্তি কে কোর্টে হাজির করতেই হবে অথবা তার অপহরণের প্রতিবেদন কোর্টে জমা দিতে হবে।
  2. Mandamus- কোন সরকারি অফিসার যদি ঠিকমতো নিজের কাজ না করে এবং যদি কোন ব্যক্তি কোর্টে তার নামে mandamus এর রিট জারি করে তবে court তার কাছে কৈফিয়ত চাইবে, যে কেন সে ঠিক মত কাজ করছে না। কিন্তু রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, হাইকোর্টের প্রধাান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টেটের প্রধান বিচারপতি এবং কোন বেসরকারি সংস্থার অফিসারের ওপর mandamus জারি করা যায় না।
  3. Prohibition- যদি কোন ছোট court তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করে। যেমন- কোন Civil Court এ যদি criminal case চলে, তখন বড় কোর্ট ছোট কোর্টকে তৎক্ষণাৎ ওই case টি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। Prohibition এর মাধ্যমে।
  4. Certiorari- কোন ছোট কোট বা Tribunal (কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়়় দেখার জন্যর বানানো কোন সংস্থাকে Tribunal বলে) এ কোন মামলা যদি অনেকদিন ধরে আটকে থাকে, তখন বড় court তাদের আদেশ দিতেে পার ওই মামলা গুলিকে তৎক্ষণাৎ বড় কোর্টকে দিতে।
  5. Quo-warranto- কোন সরকারি অফিসার যদি এমন কোন কাজ করে যেটার তার অধিকার নেই এবং সেই কাজের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি যদি কোর্টে Quo-warranto এর রিট জারি করে, তাহলে court সেই অফিসারের উচ্চপদস্থ অফিসারকে প্রশ্ন করবে যে কোন অধিকারে তার অধীনস্থ সেই অফিসার উল্লেখিত কাজটি করেছে।

  • Article 33- এই আর্টিকেলটি সামরিক সেনাদের জন্য কার্যকরী হয়। যেই সমস্ত ব্যক্তি সামরিক ক্ষেত্রে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে সব মৌলিক অধিকার সবসময় কার্যকারি থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই। সরকার চাইলে কিছু সময়ের জন্য তাদের কিছু মৌলিক অধিকারকে বন্ধ করে রাখতে পারে এবং সেই ক্ষেত্রে কোর্ট এর বিরুদ্ধে কিছুু বলতে পারবে না।
  • Article 34- কোন জায়গায় military law লাগানো হলে সেখানকার বাসিন্দাদের মৌলিক অধিকার ততদিন এর জন্য বাতিল হয়ে যায় যতদিন সেখানে military law চলছে।
  • Article 35- মৌলিক অধিকারকে ঠিক করে কার্যকর করার জন্য যদি কোন আইন বানাতে হয় তাহলে সেরকম আইন বানানোর ক্ষমতা কেবলমাত্র পার্লামেন্ট এর কাছেে আছে রাজ্য আইনসভা বা state legislature এর সে ক্ষেত্রে কোনো ক্ষমতা নেই।
N.B - এই topic এ আপনার prepartion check করুন একটি ছোট MCQ test এর মাধ্যমে । MCQ test টি দেবার জন্য click করুনঃ MCQ on Fundamental right in Bengali

মন্তব্যসমূহ

  1. Article 28 ta missing hoye ge6e bodhoy.......Ota input kore dile subidhe hoto......thank you 🙏

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. পিছিয়ে পরা কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায় কে সরকার চাইলে সাহায্য করতে পারে

      মুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীজীর উত্থান

গান্ধীজীর উত্থান ব্রিটেন থেকে ওকালতি পড়ে এসে গান্ধীজী 1898 সালে সাউথ আফ্রিকাতে যান। সেখানে তিনি দাদা আব্দুল্লাহর কেসের জন্য গেলেও সেখানকার নিপীড়িত ভারতীয়দের দেখে তাদের সাহায্য করার জন্য 22 বছর সাউথ আফ্রিকা তে থাকেন। এরমধ্যে গান্ধীজীর প্রতিবাদের দুটি ধারা দেখা যায়। গান্ধীজীর প্রতিবাদের নরমপন্থী ভাগ (1894-1906) দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে গান্ধীজী প্রথমে নরমপন্থী দের মত সরকারকে প্রেয়ার এবং পিটিশন দেওয়া শুরু করে এই আশায় যে যেহেতু আফ্রিকা ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ সেই হিসাবে সেখানকার বসবাসকারী ভারতীয়রা ব্রিটেনের নাগরিক এবং ব্রিটিশ সরকার তাদের দুর্দশা দেখলে তাদের সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।  প্যাসিভ রেজিস্টেন্স বা সত্যাগ্রহী ভাগ (1906-1914) নরমপন্থী ভাবধারায় কাজ না হওয়ায় গান্ধীজি প্যাসিভ রেজিস্টেন্স এর দিকে চলে যায় যাকে তিনি সত্যাগ্রহ বলেন। তিনি প্রথম সত্যাগ্রহ করেন দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা ভারতীয়দের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে। এখানে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা বলা হয়েছিল যে সমস্ত ভারতীয়রা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকে তাদেরকে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া একটি কার্ড নিয়ে ঘুরতে হব

ধ্বনি

ধ্বনি কাকে বলে? বাক যন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়োগে শব্দের বিশ্লিষ্ট তম অংশকে বলে ধ্বনি। বাংলা ব্যাকরণে 11 টি স্বরধ্বনি এবং 39 টি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। ধ্বনি পরিবর্তন দুইভবে হয়, স্বরধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন ও ব্যঞ্জনধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন। স্বরধ্বনিঘটিত পরিবর্তন- স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ-  উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা ছন্দের প্রয়োজনে সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ্ণকে  ভেঙে তার মধ্যে স্বরধ্বনি আনার রীতিকে বলা হয় স্বরভক্তি বাা বিপ্রকর্ষ। যেমন - রত্ন > রতন স্বরাগম- উচ্চারণ কে সহজ করতে অথবা উচ্চারণের অপারগতার জন্য শব্দের শুরুতে, মধ্যে বা শেষে স্বরধ্বনি আগমনকে বলা হয় স্বরাগম। স্বরাগমকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। আদি স্বরাগম- শব্দের শুরুতে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- স্কুল > ইস্কুল মধ্য স্বরাগম-  শব্দের মধ্যে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম ইত্যাদি। অন্ত স্বরাগম-  শব্দের শেষে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- বেঞ্চ >বেঞ্চি, ইঞ্চ>ইঞ্চি ইত্যাদি। স্বরলোপ-  উচ্চারণের কোন ত্রুটি বা সুবিধার জন্য শব্দের অন্তর্গত কোন