সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

NCERT Class 6 | Science | Chapter 1&2 | Food: Where does it come from? & Components of food in Bengali

  Food: Where Does it Come From?

 

আমরা প্রতিদিন যে সকল খাবার খাই তার দুটি উৎস আছে, 
  1. উদ্ভিজ্জ উৎস
  2. প্রাণিজ উৎস

উদ্ভিজ্জ উৎস- চাল, ডাল, আটা, ফল, সবজি ইত্যাদি।
প্রাণিজ উৎস- দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি।

Herbivorous- যে সমস্ত প্রাণী শুধুমাত্র উদ্ভিদ বা উদ্ভিজ্জ খাদ্যগ্রহণ করে তাদেরকে হারভিভোরাস বলা হয়। যেমন- গরু, ছাগল ইত্যাদি।
Carnivorous- যে সমস্ত প্রাণী শুধুমাত্র প্রাণিজ খাদ্যগ্রহণ করে তাদেরকে কার্নিভোরাস বলা হয়।
যেমন- বাঘ, সিংহ ইত্যাদি।
Omnivorous- যে সমস্ত প্রাণী উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ উভয় প্রকার খাদ্যগ্রহণ করে তাদেরকে অমনিভোরাস বলা হয়। যেমন- মানুষ, কুকুর ইত্যাদি।

Components of Foods

আমরা ভারতের যেকোনো স্থানেই থাকি না কেন আমাদের প্রতিদিনের খাওয়ারে কমপক্ষে একটি করে grain বা দানাশস্য জাতীয় খাদ্য থাকে। এর সাথে ডাল বা মাছ, মাংস, ডিম জাতীয় কোন খাওয়ার এবং তার সাথে শাক বা সবজি থাকে।
এরকম খাদ্য খাওয়ার কারণ হলো আমাদের শরীরের সুস্থ স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য আলাদা আলাদা nutrient (পুষ্টি দ্রব্য) এর দরকার হয়।
আমাদের শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রধানত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিনমিনারেল এর দরকার হয়। এছাড়া দরকার হয় dietary fibreজলের
কার্বোহাইড্রেট অনেক রকম হতে পারে তবে যেটা সবথেকে সাধারণ কার্বোহাইড্রেট সেটা হলো স্টার্চ বা শ্বেতসার সুগার

Test for starch- কোন খাদ্যদ্রব্যে স্টার্ট থাকলে ওই খাদ্যদ্রব্যে দুই থেকে তিন ফোঁটা লঘু আয়োডিনের দ্রবন দিলে খাদ্যবস্তুটির রং কালচে নীল হয়ে যাবে।
Test for protein- যদি কোন খাদ্য প্রস্তুতিতে প্রোটিন থেকে থাকে তবে ওই খাদ্যবস্তুকে গুঁড়ো করে বা পেস্ট করে তার জলীয়়় দ্রবণ বানিয়ে তাতে কপার সালফেট ও কস্টিক সোডা মিশিয়ে টেস্টটিউবে রেখে দিল দ্রবণটির বর্ণ বেগুনি হয়ে যাবে।
Test for fat- কোন খাদ্যবস্তুকে সাদা কাগজ দিয়ে ধরলে যদি কাগজে তেলের ছাপ পড়ে তাহলে বোঝা যাবে খাদ্য বস্তুটিতে ফ্যাট আছে।

কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট আমাদের দেহে শক্তি সরবরাহ করে এবং প্রোটিন দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে। এইজন্য প্রোটিনকে body building food ও বলা হয়।
সমপরিমাণ ফ্যাট সমপরিমাণ কার্বোহাইড্রেট তুলনায় বেশি পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করে। 
এছাড়া বিভিন্ন মিনারেল আমাদের দেহে খুব অল্প পরিমাণে হলেও দরকার হয় সুস্থ থাকার জন্য।
Vitamin and their sources

Source of minerals-
  1. আয়োডিন- আঁদা, মাছ, লবণ।
  2. ফসফরাস- দুধ, কলা, কাঁচা লঙ্কা, জিরে।
  3. আয়রন- আপেল, যকৃত, শাকসবজি।
  4. ক্যালসিয়াম- দুধ, ডিম।
এছাড়া আমাদের শরীরে দরকার হয় জল ও ডায়েট্রি ফাইবারের। Dietary fibre কে roughage ও বলা হয়।
ফল, আলু, দানাশস্যতে রাফেজ থাকে। রাফেজ আমাদের শরীরে কোন নিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করে না তবে খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
জল খাদ্য থেকে নিউট্রিয়েন্ট শোষণ করতে এবং আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনে সাহায্য করে (মুত্র এবং ঘামের দ্বারা)। আমরা যে সমস্ত তরল পদার্থ গ্রহণ করি তার থেকেই আমাদের শরীরের জলের চাহিদা মেটে।
Balance diet (সুষম খাদ্য)- আমাদের দেহের সুস্থ স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্টস এর দরকার হয় এবং যে খাদ্যে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় সমস্ত নিউট্রিয়েন্টস থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে। 
কোন একটি মাত্র খাদ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয়় নিউট্রিয়েন্ট থাকে না, তাই আমাদের নিউট্রিয়েন্ট এর চাহিদা মেটানোর জন্য আলাদা আলাদা খাদ্য গ্রহণ করতে হয়।
এমন অনেক নিউট্রিয়েন্টস আছে যেগুলি রান্না করার সময় নষ্ট হয়ে যায়। যেমন- ভিটামিন C তাপের প্রভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও ফলকে কাটার পর ধুলে অনেক নিউট্রিয়েন্ট ধুয়ে যায়।
Deficiency disease- যখন কোন এক বা একাধিক নিউট্রিয়েন্ট অনেকদিন ধরে না গ্রহণ করার ফলে কোন রোগ দেখা দেয়, তখন তাকে ডেফিশিয়েন্সি ডিজিজ বলে।

প্রোটিনের অভাবে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, চুলের রঙ পরিবর্তিত হয়, চর্মরোগ, ডায়রিয়া, মুখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি হয়।
List of diseases due to lack of vitamin or minerals

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Fundamental right in Bengali | মৌলিক অধিকার

Fundamental right বা মৌলিক অধিকার ভারতীয় সংবিধানের part 3 এর article 12 থেকে article 35 এর মধ্যে আছে। মৌলিক অধিকারের ধারণা US Constitution থেকে নেওয়া হয়েছে।  ভারতীয় সংবিধানে বর্তমানে ছয়টি মৌলিক অধিকার আছে। যে গুলি হল, Right to Equality বা সাম্যের অধিকার (article 14 থেকে 18) Right to freedom বাক স্বাধীনতার অধিকার (article 19 থেকে 22) Right against exploitation বা শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার (article 23 থেকে 24) Right to freedom of religion বা ধর্মীয় স্বাধীনতা (article 25 থেকে 28) Cultural and educational rights বা শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার (article 29 থেকে 30) Right to constitutional remedies বা সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার (article 32) 1978 খ্রিস্টাব্দের আগে right to property বা সম্পত্তির অধিকার ও একটি fundamental right বা মৌলিক অধিকার ছিল কিন্তু 1978 সালে 44 তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার থেকে সরিয়ে legal right বানানো হয় যা বর্তমানে article 300A যে আছে। Right to Equality বা সাম্যের অধিকার (article 14 থেকে 18) -  Article 14 -  Equal

ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীজীর উত্থান

গান্ধীজীর উত্থান ব্রিটেন থেকে ওকালতি পড়ে এসে গান্ধীজী 1898 সালে সাউথ আফ্রিকাতে যান। সেখানে তিনি দাদা আব্দুল্লাহর কেসের জন্য গেলেও সেখানকার নিপীড়িত ভারতীয়দের দেখে তাদের সাহায্য করার জন্য 22 বছর সাউথ আফ্রিকা তে থাকেন। এরমধ্যে গান্ধীজীর প্রতিবাদের দুটি ধারা দেখা যায়। গান্ধীজীর প্রতিবাদের নরমপন্থী ভাগ (1894-1906) দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে গান্ধীজী প্রথমে নরমপন্থী দের মত সরকারকে প্রেয়ার এবং পিটিশন দেওয়া শুরু করে এই আশায় যে যেহেতু আফ্রিকা ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ সেই হিসাবে সেখানকার বসবাসকারী ভারতীয়রা ব্রিটেনের নাগরিক এবং ব্রিটিশ সরকার তাদের দুর্দশা দেখলে তাদের সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।  প্যাসিভ রেজিস্টেন্স বা সত্যাগ্রহী ভাগ (1906-1914) নরমপন্থী ভাবধারায় কাজ না হওয়ায় গান্ধীজি প্যাসিভ রেজিস্টেন্স এর দিকে চলে যায় যাকে তিনি সত্যাগ্রহ বলেন। তিনি প্রথম সত্যাগ্রহ করেন দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা ভারতীয়দের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে। এখানে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা বলা হয়েছিল যে সমস্ত ভারতীয়রা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকে তাদেরকে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া একটি কার্ড নিয়ে ঘুরতে হব

ধ্বনি

ধ্বনি কাকে বলে? বাক যন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়োগে শব্দের বিশ্লিষ্ট তম অংশকে বলে ধ্বনি। বাংলা ব্যাকরণে 11 টি স্বরধ্বনি এবং 39 টি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। ধ্বনি পরিবর্তন দুইভবে হয়, স্বরধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন ও ব্যঞ্জনধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন। স্বরধ্বনিঘটিত পরিবর্তন- স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ-  উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা ছন্দের প্রয়োজনে সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ্ণকে  ভেঙে তার মধ্যে স্বরধ্বনি আনার রীতিকে বলা হয় স্বরভক্তি বাা বিপ্রকর্ষ। যেমন - রত্ন > রতন স্বরাগম- উচ্চারণ কে সহজ করতে অথবা উচ্চারণের অপারগতার জন্য শব্দের শুরুতে, মধ্যে বা শেষে স্বরধ্বনি আগমনকে বলা হয় স্বরাগম। স্বরাগমকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। আদি স্বরাগম- শব্দের শুরুতে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- স্কুল > ইস্কুল মধ্য স্বরাগম-  শব্দের মধ্যে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম ইত্যাদি। অন্ত স্বরাগম-  শব্দের শেষে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- বেঞ্চ >বেঞ্চি, ইঞ্চ>ইঞ্চি ইত্যাদি। স্বরলোপ-  উচ্চারণের কোন ত্রুটি বা সুবিধার জন্য শব্দের অন্তর্গত কোন