সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রিভলিউশনারি অ্যাক্টিভিটি প্রথম পর্যায় (1907-1917)

 স্বদেশী আন্দোলন শেষ হওয়ার পর তৎকালীন রাজনীতিতে নেতৃত্বের অভাব দেখা যায় কারণ কংগ্রেস দুই ভাগে ভেঙ্গে যায় এবং চরমপন্থি নেতারা ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যায় যেমন বিপিনচন্দ্র পাল অরবিন্দ ঘোষ এবং বালগঙ্গাধর তিলককে রাজদ্রোহের চার্জে 6 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর ফলে যে যুবসমাজ চরমপন্থীদের দেখে স্বদেশী আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছিল তারা হতাশ হয়ে পড়ে। এবং যুব শক্তিকে কাজে লাগানোর মত কোন নেতৃত্ব ওই সময় ভারতবর্ষে উপস্থিত না থাকায় রিভলিউশনারি অ্যাক্টিভিটি শুরু হয়।
রিভলিউশনারি অ্যাক্টিভিতিজ দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ব্যক্তি ছিল 1900-1915 পর্যন্তত এবং দ্বিতীয়ভাগটিি ছিল 1920 পর থেকে।

A survey of revolutionary activities

  • Bengal
বাংলায় প্রথম যে রেভলিউশনারি গ্রুপটি তৈরি করা হয়েছিল সেটি তৈরি হয়েছিল মেদিনীপুরে যতীন্দ্রনাথ বসুর নেতৃত্বে 1902 সালে।
এরপর 1902 সালে প্রমথ মিত্র, যতীন্দ্রনাথ বসু বীরেন্দ্র কুমার ঘোষ এর নেতৃত্বে কলকাতায় অনুশীলন সমিতি গঠিত হয়।
বীরেন্দ্র কুমার ঘোষ ও ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত যুগান্তর নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা চালু করেন।
বাংলার রিভলিউশনারি এক্টিভিস্টদের মধ্যে রাজবিহারী বোস ও শচীন সান্যাল এর নাম উল্লেখযোগ্য।
  1. রাজবিহারী বোস ভাইসরয় হার্ডিঞ্জের ওপর আক্রমণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
  2. গদর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
  3. আজাদিন বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শচীন সান্যাল
  1. ভাইসরয় হার্ডিঞ্জের ওপর আক্রমণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
  2. গদর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
  3. শচীন সান্যাল একটি বই লিখেছিলেন যার নাম বন্দিজীবন।
রাজবিহারী বোস এবং শচীন সান্যাল এর দ্বারা একটি সংগঠন তৈরি করা হয় যার নাম ছিল সিক্রেট সোসাইটি।

1908 সালে একটি উল্লেখযোগ্য রিভলিউশনারি অ্যাক্টিভিটি হয়েছিল যেটাকে আলিপুর কন্সপিরেসি মামলা বলা হয়। মুজাফফরনগরে একজন কুখ্যাত যাচ্ছিলেন যার নাম ছিল কিংসফোর্ড। কিংসফোর্ডকে হত্যা করার জন্য প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসু তাঁর ঘোড়াগাড়ি কে আক্রমণ করেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই দিন সেই ঘোড়ার গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না তার বদলে দুজন ব্রিটিশ মহিলার মৃত্যু হয়। এরপর প্রফুল্ল চাকী আত্মহত্যা করেন এবং ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি দেওয়া হয়। আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলায় অরবিন্দ ঘোষ কে অভিযুক্ত বলা হয় (অনুশীলন সমিতির অন্যান্য সদস্যদের আটক করা হয়) পরের চিত্তরঞ্জন দাস তাকে নির্দোষ প্রমাণ করেন।
এরপর 1912 সালে শচীন সান্যাল রাজবিহারী বোস এর দ্বারা ভাইসরয় হার্ডিঞ্জের ওপর আক্রমণ করা হয় দিল্লিতে দিল্লি দরবার এর সময়, যা দিল্লি কন্সপিরেসি ক্যাস নামে পরিচিত।

  • Maharashtra

মহারাষ্ট্র যে প্রথম রেভুলেশনারি অ্যাক্টিভিটি হয়েছিল সেটি হয়েছিল 1879 সালে বাসুদেব বলবন্ত ফাডকের নেতৃত্বে যা রামোসি পিজেন্ট আন্দোলন নামে পরিচিত।
1890 এ বাল গঙ্গাধর তিলক গণপতি উৎসব, শিবাজী উৎসব এবং তার পত্রিকা কেশরী ও মারাঠা এর দ্বারা যে মিলিটারি ন্যাশনালিজম এর ভাবধারা তৈরি করেছিলেন সেই ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ কারী ছাত্র চিপেকার ভাইরা, দামোদর ও বালকৃষ্ণ পুনের প্লেগ কমিশনার রেন্ডকে হত্যা করেন।
বিনায়ক দামোদর সাভারকর ও তার ভাই মিলে মিত্র মেলা নামে একটি সিক্রেট সোসাইটি গঠন করেন যা পরে 1899 সালে অভিনব ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।

Revolutionary activities abroad

1905 সালে শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মা লন্ডনে ইন্ডিয়া হাউস নামে একটি সংস্থা গঠন করেন যা ভারতীয় স্টুডেন্টদের স্কলারশিপ দিত যারা বিপ্লবী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ ছিল।
দা ইন্ডিয়ান সোশিয়লজিস্ট নামক একটি জার্নাল ও সবজি কৃষ্ণ বর্মন দ্বারা প্রকাশিত হতো।

মদন লাল ধিংরা 1909 সালে ইংল্যান্ডে গিয়ে কুখ্যাত ব্যুরোক্র্যাট কার্জন উইলিকে হত্যা করেন।

বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বার্লিনে থেকে রিভলিউশনারি অ্যাক্টিভিটি সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার প্রকাশিত সংবাদপত্রের নাম ছিল তলোয়ার।

প্যারিসের ম্যাডাম ভিকাজি কামা বন্দেমাতরম পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।

জেনেভাতে অজিত সিং ভারতমাতা নামক জার্নালে প্রকাশ করতেন।

গদর আন্দোলন

রামদাস পুরি, জি ডি কুমার, তারক নাথ দাস, সহন সিং ভাকনা ও লালা হরদয়াল মিলে  কেনেডাতে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া হাউস বা স্বদেশ সেবক হোম গঠন করেন। প্রি গদর আন্দোলনের নেতা তারক নাথ দাস একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন যার নাম হল দা ফ্রী হিন্দুস্থান
ক্যানাডা ব্রিটিশদের কলোনি হওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারের চাপে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া হাউস গঠনকারী নেতাদের ক্যানেডা ছাড়তে হয় এবং তারা হাজার 1913 সালে সান ফ্রান্সিসকোতে এসে গদর পার্টি গঠন করেন। লালা হরদয়াল কে গদর পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। গদর নামক একটি পত্রিকার নামে গদর পার্টি শুরু করা হয়। এই পত্রিকাটি প্রথমে গুরুমুখী ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হতো পরবর্তীকালে এটি বাকি কিছু দেশীয় ভাষায় প্রকাশ করা শুরু হয় যার মধ্যে উর্দু একটি ভাষা ছিল।
বরকতউল্লাহ, ভগবান সিং, লালা হরদয়াল, সোহান সিং ভাকনা, কর্তন সিং সারাভাই প্রমূখ গদর পার্টি সদস্য ছিলেন। 
গদর পার্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রথমে বিদেশে থেকে একটি শক্তিশালী বেস তৈরি করা এবং পরবর্তীকালে ভারতে সশস্ত্র আক্রমণ এর দ্বারা ব্রিটিশদের বিতাড়িত করা।
এরই মধ্যে কোমাগাতামারুর ঘটনা ঘটে যা গদর পার্টির নেতৃত্ব বিন্দকে ভারতে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার জন্য বাধ্য করে দেয়।
কোমাগাতামারু নামক একটি জাপানি জাহাজে 370 জন ভারতীয় ক্যানাডার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু ক্যানাডার সরকার কোমাগাতামারু কে কানাডাতে প্রবেশের অনুমতি দেয় না যার ফলে দুই মাস কোমাগাতামারু থাকা সমস্ত জাতিকে জাহাজেই থাকতে হয়। গদর পার্টির নেতৃবৃন্দ এটা মনে করতেন যে ব্রিটিশ সরকারের চাপে পড়েই কানাডার সরকার কোমাগাতামারুকে ক্যানাডাতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। এবং এরই মধ্যে 1914 সালে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে ইংল্যান্ড থেকে এমন অর্ডার আসে যে সমস্ত জাহাজে লোকেরা বাইরে গেছে সেই সমস্ত জাহাজের লোকেদের তাদের নিজস্ব জায়গা ফিরিয়ে আনা হোক। যার ফলে কোমাগাতামারু কে আবার ঘুরে ভারতে আসতে হয় এবং কলকাতার বজ বাজে এই জাহাজটিকে থামানো হয়। এরপর ব্রিটিশ সরকার জাহাজের অভুক্ত যাত্রীদের ওপর জোর করা শুরু করে পাঞ্জাবের ট্রেনে ওঠানোর জন্য আর এই জোর-জুলুমের মধ্যে 22 জন যাত্রীর মৃত্যু হয়ে যায়। 
আর গদর পার্টির নেতৃত্ব এই মর্মান্তিক ঘটনা দেখে এর প্রতিশোধ নেওয়ার অভিপ্রায় করে নেয়। তারা 21 ফেব্রুয়ারি 1915 এই দিনটি ঠিক করে ভারতে আন্দোলন করার জন্য। কাজের পরিকল্পনা ছিল গদর পার্টির সদস্যরা কয়েকজন করে প্রথমে ভারতে যাবেন এবং ভারতীয়দের জাগিয়ে একটি বড় আন্দোলনের সূচনা করবে। কিন্তু এই পরিকল্পনা সফল হয়নি কারণ ব্রিটিশ সরকার আগেই এ পরিকল্পনা সম্বন্ধে অবগত হয় এবং 1915 সালে ডিফেন্স অফ ইন্ডিয়া রুল নামক একটি আইনারে যার দ্বারা বহু গদর পার্টি সদস্যকে আটক করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শচীন সান্যাল ও রাজবিহারী বসু গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। এরপরে রাজবিহারী বসু জাপানে পালিয়ে যান। এইভাবে গদর আন্দোলন শুরু হওয়ার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়।

গদর আন্দোলনের সমালোচনা

গদর পার্টি একটি ধর্মনিরপেক্ষ পার্টি ছিল এখানে সমস্ত ধরনের নেতৃত্ববৃন্দ দেখা যায়।

যেহেতু গদর পার্টি আমেরিকা থেকে সমস্ত কার্যভার পরিচালনা করত এর ফলে ভারতে এসে তারা ভারতীয়দের মধ্যে নিজেদের ভাবধারার প্রচার করতে পারেননি আর যেটা গদর আন্দোলনের ব্যর্থতার একটি অন্যতম কারণ ছিল।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Fundamental right in Bengali | মৌলিক অধিকার

Fundamental right বা মৌলিক অধিকার ভারতীয় সংবিধানের part 3 এর article 12 থেকে article 35 এর মধ্যে আছে। মৌলিক অধিকারের ধারণা US Constitution থেকে নেওয়া হয়েছে।  ভারতীয় সংবিধানে বর্তমানে ছয়টি মৌলিক অধিকার আছে। যে গুলি হল, Right to Equality বা সাম্যের অধিকার (article 14 থেকে 18) Right to freedom বাক স্বাধীনতার অধিকার (article 19 থেকে 22) Right against exploitation বা শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার (article 23 থেকে 24) Right to freedom of religion বা ধর্মীয় স্বাধীনতা (article 25 থেকে 28) Cultural and educational rights বা শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার (article 29 থেকে 30) Right to constitutional remedies বা সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার (article 32) 1978 খ্রিস্টাব্দের আগে right to property বা সম্পত্তির অধিকার ও একটি fundamental right বা মৌলিক অধিকার ছিল কিন্তু 1978 সালে 44 তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার থেকে সরিয়ে legal right বানানো হয় যা বর্তমানে article 300A যে আছে। Right to Equality বা সাম্যের অধিকার (article 14 থেকে 18) -  Article 14 -  Equal

ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীজীর উত্থান

গান্ধীজীর উত্থান ব্রিটেন থেকে ওকালতি পড়ে এসে গান্ধীজী 1898 সালে সাউথ আফ্রিকাতে যান। সেখানে তিনি দাদা আব্দুল্লাহর কেসের জন্য গেলেও সেখানকার নিপীড়িত ভারতীয়দের দেখে তাদের সাহায্য করার জন্য 22 বছর সাউথ আফ্রিকা তে থাকেন। এরমধ্যে গান্ধীজীর প্রতিবাদের দুটি ধারা দেখা যায়। গান্ধীজীর প্রতিবাদের নরমপন্থী ভাগ (1894-1906) দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে গান্ধীজী প্রথমে নরমপন্থী দের মত সরকারকে প্রেয়ার এবং পিটিশন দেওয়া শুরু করে এই আশায় যে যেহেতু আফ্রিকা ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ সেই হিসাবে সেখানকার বসবাসকারী ভারতীয়রা ব্রিটেনের নাগরিক এবং ব্রিটিশ সরকার তাদের দুর্দশা দেখলে তাদের সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।  প্যাসিভ রেজিস্টেন্স বা সত্যাগ্রহী ভাগ (1906-1914) নরমপন্থী ভাবধারায় কাজ না হওয়ায় গান্ধীজি প্যাসিভ রেজিস্টেন্স এর দিকে চলে যায় যাকে তিনি সত্যাগ্রহ বলেন। তিনি প্রথম সত্যাগ্রহ করেন দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা ভারতীয়দের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে। এখানে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা বলা হয়েছিল যে সমস্ত ভারতীয়রা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকে তাদেরকে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া একটি কার্ড নিয়ে ঘুরতে হব

ধ্বনি

ধ্বনি কাকে বলে? বাক যন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়োগে শব্দের বিশ্লিষ্ট তম অংশকে বলে ধ্বনি। বাংলা ব্যাকরণে 11 টি স্বরধ্বনি এবং 39 টি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। ধ্বনি পরিবর্তন দুইভবে হয়, স্বরধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন ও ব্যঞ্জনধ্বনি ঘটিত পরিবর্তন। স্বরধ্বনিঘটিত পরিবর্তন- স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ-  উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা ছন্দের প্রয়োজনে সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ্ণকে  ভেঙে তার মধ্যে স্বরধ্বনি আনার রীতিকে বলা হয় স্বরভক্তি বাা বিপ্রকর্ষ। যেমন - রত্ন > রতন স্বরাগম- উচ্চারণ কে সহজ করতে অথবা উচ্চারণের অপারগতার জন্য শব্দের শুরুতে, মধ্যে বা শেষে স্বরধ্বনি আগমনকে বলা হয় স্বরাগম। স্বরাগমকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। আদি স্বরাগম- শব্দের শুরুতে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- স্কুল > ইস্কুল মধ্য স্বরাগম-  শব্দের মধ্যে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম ইত্যাদি। অন্ত স্বরাগম-  শব্দের শেষে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন- বেঞ্চ >বেঞ্চি, ইঞ্চ>ইঞ্চি ইত্যাদি। স্বরলোপ-  উচ্চারণের কোন ত্রুটি বা সুবিধার জন্য শব্দের অন্তর্গত কোন